একটি জাতীয় পরিচয়ের (এনআইডি) অধীনে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকলে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ৩১ লাখ ৩০ হাজার সিম কার্ড শনাক্ত করেছে, যা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিষ্ক্রিয় করা হবে। বিটিআরসি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন গ্রাহক তার এনআইডি কার্ডের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। সম্প্রতি কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৩০ লাখের বেশি এরকম সিম নিষ্ক্রিয় করতে বিটিআরসি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিটিআরসির কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক্স ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম (সিবিভিএমপি) প্রথমে সিমের তালিকা করবে এবং তালিকাটি সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের কাছে পাঠানো হবে। অপারেটররা সিম মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং তাদের সিমের সংখ্যা ১৫ এর নামিয়ে আনতে অনুরোধ করবে।
এ বিষয়ে গ্রাহকদের এসএমএস পাঠাবে অপারেটররা। জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য বিটিআরসি এবং মোবাইল ফোন অপারেটর এ বিষয়ে ওয়েবসাইট এবং সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এ প্রক্রিয়া চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
এর আগে, ২০১৬ সালের জুনে বিটিআরসি প্রতিটি গ্রাহককে সর্বোচ্চ ২০টি সিম কার্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে কমিশন তার সিদ্ধান্ত সংশোধন করে এই সংখ্যা ১৫ নির্ধারণ করে।
বিটিআরসি বেশ কয়েকবার ১৫টির বেশি সিম থাকা গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট কাস্টমার কেয়ার সেন্টার তেকে তাদের অতিরিক্ত নম্বরগুলো নিজে থেকে নিষ্ক্রিয় করার অনুরোধ জানায়।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, ব্যবহারকারীদের এনআইডি, ভোটার আইডি, গাড়ির নিবন্ধন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বরসহ একত্রিত ডেটা না থাকায় বিটিআরসির পক্ষে সিমগুলো নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়নি। তবে, যাদের সিম কেনার কর্পোরেট অনুমতি আছে তারা এই নিষ্ক্রিয়করণের আওতার বাইরে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।